রাজশাহী শহর থেকে পুঠিয়ার দুরত্ব মাত্র ৩২ কিলোমিটার। প্রাচীন পুন্ড্রবর্ধন জনপদের অংশ পুঠিয়ার জনবসতি হাজার বছরের ঐতিহ্য বহন করছে। হাজার বছরের ইতিহাসের গতিধারা নির্ণয়কারী অসংখ্য নিদর্শন সমৃদ্ধ পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান আয়তন ১৯২.৬৪ বর্গকিমি (৭৪.৩৮ বর্গমাইল)। প্রাচীন জমিদার বাড়ীর জন্য পুঠিয়া বিখ্যাত। এখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী সংখ্যক ঐতিহাসিক মন্দির রয়েছে। রাজশাহীর বিখ্যাত জনহিতৈষী পুঠিয়া রাজ পরিবারের হিন্দু জমিদার রাজাদের দ্বারা মন্দিরগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পুঠিয়ার জমিদার/রাজাগণ প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য এবং ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্নের জন্য বিভিন্ন স্থাপত্য কাঠামো ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মন্দির নির্মাণ করেন, যা আজও কালের সাক্ষী হিসাবে টিকে আছে। পুঠিয়ায় অবস্থিত অধিকাংশ মন্দিরে পোড়ামাটির ফলক স্থাপিত আছে। এখানকার পুরাকীর্তির মধ্যে পাঁচআনি রাজবাড়ী বা পুঠিয়া রাজবাড়ী, চারআনি রাজবাড়ী ও ১৩ টি মন্দির রয়েছে। পুঠিয়ার প্রত্ননিদর্শনের মধ্যে ১৪ টি স্থাপনা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসাবে ঘোষনা করেছে।এই জেলার দক্ষিণে চারঘাট উপজেলা ও বাঘা উপজেলা, পশ্চিমে দূর্গাপুর উপজেলা ও রাজশাহী শহর, পূর্বে নাটোর জেলা এবং উত্তরে বাগমারা উপজেলা। তাহেরপর থেকে পুঠিয়া ১৪ কিলোমিটার এবং নাটোর থেকে ১৮ কিলোমিটার ।
পুঠিয়া উপজেলার এল জি ই ডি এর অনুমোদিত মানচিত্র বিভিন্ন সাংকতিক চিহ্নসহ নিম্নে দেওয়া হলো। উল্লেখিত ম্যাপে মৌজা সমূহ উল্লেখ করা হলো।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস